ভারতের কুম্ফল মেলাঃ আপনার যা জানা দরকার

ভারতের কুম্ফল মেলামেশা আধ্যাত্মিক হিসাবে মৃদুশীল। এই প্রাচীন উত্তর ভারতীয় উত্সব রহস্যময় মন একটি সভা। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সমাবেশ, কুম্ফল মেলা হিন্দু পবিত্র পুরুষকে তাদের বিশ্বাস নিয়ে আলোচনা ও তাদের ধর্ম সম্পর্কে তথ্য প্রচারের জন্য একত্রিত করে। এটি প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ উপস্থিত।

উৎসবের গুরুত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ, ২017 সালের ডিসেম্বরে ইউনেস্কোটি মানবতার তালিকাটির অস্পষ্ট সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উপর কুম্ফল মেলা অন্তর্ভুক্ত করে।

কুম্ভ মেলা কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?

মেলা ভারতের চারটি পবিত্র হিন্দু স্থানগুলির মধ্যে ঘূর্ণায়মান ভিত্তিতে সংঘটিত হয় - নাশিক (মহারাষ্ট্র) এর গোদাভারী নদীর তীরে, উজ্জাইন (মধ্যপ্রদেশ) এর শিপরা নদী, হরিদ্বার (গঙ্গা নদী) ), এবং এলাহাবাদ / প্রিয়াগ (উত্তরপ্রদেশ) এর গঙ্গা, যমুনা এবং পৌরাণিক সরস্বতী নদীর সংগৃহীত। এই নদীগুলির সমৃদ্ধিকে সাংম বলা হয়।

কুম্ভ মেলা কখন অনুষ্ঠিত হয়?

প্রতিটি অবস্থান একবার প্রতি 12 বছর। তাত্ত্বিকভাবে, এটি একটি ভিন্ন জায়গায় প্রতি তিন বছর ঘটতে হবে। যাইহোক, উৎসবের সঠিক সময় এবং স্থান জ্যোতির্বিদ্যা এবং ধর্মীয় বিবেচনার উপর নির্ভর করে। এর অর্থ হল মেলা কখনও কখনও বিভিন্ন সাইটগুলিতে এক বছরের ব্যবধানে ঘটে।

একটি মহা কুंभ মেলাও রয়েছে, যা প্রতি 1২ বছরে একবার অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে, ষষ্ঠ বছরে, অর্ধ কুম্ফল মেধা (অর্ধ মেেলা) সংঘটিত হয়।

এ ছাড়া, এলাহাবাদে প্রতি বছর মাগ মাসে (জানুয়ারী থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী) সাংগঠনে মাঘ মেলা উদযাপন করা হয়। এই মাঘ মেলাটি যথাক্রমে ষষ্ঠ ও বারো বছরগুলিতে সংঘটিত আধা কুंभ মেলা এবং কুম্ফল মেলা নামে পরিচিত।

মহা কুম্ভ মেলা সবচেয়ে পবিত্র মেলা বলে মনে করা হয়।

এটি সর্বদা এলাহাবাদে ঘটে, যেমন নদীগুলির সংগৃহীত বিশেষত পবিত্র বলে বিবেচিত হয়। অর্ধ কুবেলা মেলা এলাহাবাদ ও হারিদর উভয়েই ঘটে।

পরবর্তী কুম্ভ মেলা কখন?

• ২019 সালের 14 জানুয়ারি থেকে 4 জানুয়ারী পর্যন্ত এলাহাবাদে অর্ধ কুষ্ঠ মেলা।
• ২0২২ খ্রিষ্টাব্দে হরিদ্বারের কুম্ফল মেলা
• ২0২6 সালে মহাব্বুধে মহা কুম্ফল মেলা
• ২0২7 কুম্ভ মেলা মহাসড়কে

কুম্ভ মেলা পিছনে কিংবদন্তি

কুম্ঃ মানে পাত্র বা পাত্র। Mela মানে উত্সব বা ন্যায্য। অতএব, কুম্ফল মেল মানে পাত্রের উৎসব। এটি বিশেষভাবে হিন্দু পুরাণে অমৃতের পাত্র সম্পর্কিত।

কিংবদন্তি একবার তাদের শক্তি হারিয়েছে যে কিংবদন্তী আছে। এটি পুনরুদ্ধার করার জন্য, তারা দৈত্য এর primordial সমুদ্র মন্থর demons demons সঙ্গে একমত অমৃত (অমরত্বের অমৃত)। এই তাদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করা ছিল। যাইহোক, একটি যুদ্ধ ভেঙে গেছে, যা 1২ বছর ধরে চলছে। যুদ্ধের সময়, অলৌকিক পাখি, গারুদা, অমৃতের কুম্ঘের সাথে পালিয়ে যায়। কুম্ভ মেলাটি এখন অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে মনে করা হয় অমৃতের ড্রপগুলি - প্রিয়াগ (এলাহাবাদ), হরিদ্বার, নাশিক ও উজেন।

কুম্ভ মেলায় সাধুরা

সদৃশ এবং অন্যান্য পবিত্র পুরুষ মেলা একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আধ্যাত্মিক জ্ঞান অর্জনের জন্য এটিতে অংশগ্রহণকারী পিলগ্রিমরা এই পুরুষকে দেখতে এবং শুনতে আসে।

বিভিন্ন ধরনের সাদৌস রয়েছে:

• নাগাদের - নগ্ন সাদাস যারা তাদের শরীরকে ধুয়ে ধুয়ে ফেলে এবং চুল কাটায়। আবহাওয়া কনস্ট্যান্ট এক্সপোজার তাদের তাপমাত্রা চরম প্রতিরোধী করে তোলে। তাদের চোখ ক্রমাগত ধূমপান থেকে রক্তপাত হয় charas (মারিজুয়ানা), যা তারা বিশ্বাস আলোকসজ্জা বিশ্বাস।
• Urdhwavahurs - যারা কঠোর আধ্যাত্মিক অনুশীলন থেকে শরীর emaciated আছে।
• Parivajakas যারা নীরবতার শপথ নিয়েছে।
• Shirshasinse - যারা দাঁড়িয়ে থাকে, তাদের মাথাগুলি উল্লম্ব মেরুতে বিশ্রাম নিয়ে ঘুমায়, এবং তাদের মাথার উপর দাঁড়িয়ে ধ্যান করে।
• Kalpvasis - যারা নদীর তীরে অবস্থান করে এবং তাদের সময় মেডিটেশন, অনুষ্ঠান সম্পাদন, এবং দিনে বার বার গোসল করার সময় দেয়।

কুম্ভ মেলায় কি রীতিনীতি সঞ্চালিত হয়?

প্রধান অনুষ্ঠান রীতির স্নান।হিন্দুরা বিশ্বাস করে যে নতুন চাঁদের সবচেয়ে শুভ দিনে পবিত্র জলে নিজেদেরকে ডুবিয়ে দেওয়া হবে তাদের পাপ এবং তাদের পূর্বপুরুষেরা, এভাবে পুনর্জন্মের চক্রটি শেষ করবে।

তীর্থযাত্রীরা এই দিনে প্রায় 3 এ.এম. থেকে গোসল করতে শুরু করে।

যেমন সূর্য উঠে আসে, তেমনি বিভিন্ন গোষ্ঠীগুলি নদীতে স্নান করার জন্য মিছিল করে। নাগাস সাধারণত নেতৃত্ব দেয়, যখন প্রতিটি গ্রুপ আরো মহিমা এবং fanfare সঙ্গে অন্যদের বহন করার চেষ্টা করে। মুহূর্তটি ঐন্দ্রজালিক, এবং সবাই এটি শোষিত হয়।

স্নান করার পর, তীর্থযাত্রীরা তাজা কাপড় পরেন এবং নদীর তীরে উপাসনা করেন। তারপর তারা বিভিন্ন sadhus থেকে বক্তৃতা শোনা প্রায় পায়চারি।

কিভাবে Kumbh Mela পরিচর্যা করা

একটি পর্যটক দৃষ্টিকোণ থেকে, কুंभ মেলা একটি অবিস্মরণীয় - এবং daunting - অভিজ্ঞতা! মানুষের নিখুঁত সংখ্যা বন্ধ নির্বাণ হতে পারে। তবে, ডেডিকেটেড ব্যবস্থা তৈরি করা হয়, বিশেষ করে বিদেশী। বিশেষ পর্যটন শিবির স্থাপন করা হয়, সংযুক্ত বাথরুম, গাইড এবং ভ্রমণের জন্য সহায়তা সহ বিলাসিতা তাঁবু সরবরাহ করা। আঁট নিরাপত্তা এছাড়াও জায়গায়।

সাধুদের সবচেয়ে বড় চাক্ষুষতা দেখতে, আপনি একটি জন্য আছে তা নিশ্চিত করুন শাহী স্নাতক (রয়্যাল বাথ), যা কিছু শুভ দিনে ঘটে। প্রতিটি কুম্ফল মেলা সময় সাধারণত এই সময় একটি মুষ্টিযোদ্ধা আছে। তারিখ অগ্রিম ঘোষণা করা হয়।

আরেকটি বড় ঘটনা হলো কুষ্ঠ মেহের শুরুতে সাদ্দাসের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের আগমন, অনেক উপভোগের মিছিলে।

২019 সালের কুম্ফল মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ বাথিং তারিখ

উত্তরপ্রদেশ পর্যটন নিম্নলিখিত সময়সূচী দিয়ে এই সময়সূচী প্রদান করেছে:

• 15 জানুয়ারি, ২019: মকার সংক্রান্তি (প্রথম শাহী স্নাতক)।
• ২1 জানুয়ারী, ২019: পুশ পূর্ণিমা।
• 4 ফেব্রুয়ারি, ২019: মাউনি আমবাস্য (দ্বিতীয় এবং প্রধান শাহী স্নাতক)।
• 10 ফেব্রুয়ারি, ২019: বসন্ত পঞ্চমী (তৃতীয় শাহী স্নাতক)।
• 19 ফেব্রুয়ারী, ২019: মাঘি পুরিনামা।
• 4 ই মার্চ, ২019: মহা শিবরাত্রি।

কুম্বলের মেলা ছবি

এই ছবির গ্যালারিতে কুম্ফল মেলের কিছু অদ্ভুত ও বিস্ময়কর দৃশ্য দেখুন।